ICT

টেলিকনফারেন্সিং কি, কাকে বলে?

টেলিকনফারেন্সিং কি ?  ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থান করে টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে কোনো সভা অথবা সেমিনার অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং বলা হয়।

টেলিকনফারেন্সিং (Teleconferencing)

বিভিন্ন ধরনের কনফারেন্সিং রয়েছে। যেমন- অডিও কনফারেন্সিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, ভিডিও রোম হাইয়ার, ইনভেস্টর রিলেশন, ওয়েব স্ট্রিমিং ইত্যাদি। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ব্যক্তি টেলিফোন মাধ্যম ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্স করতে পারে।

এর মাধ্যমে বিভিন্ন সভা, সেমিনার (শিক্ষা সম্পর্কিত, ব্যবসা বিষয়ক ইত্যাদি) বা দলবদ্ধভাবে যোগাযোগ করা যায়। এ ব্যবস্থায় সভায় অংশগ্রহণকারীরা কীবোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে তাদের বক্তব্য বা জবাব পাঠায়। ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থান করে টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে কোনো সভা অথবা সেমিনার অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং বলা হয়।

১৯৭৫ সালে টনি মারফ টেলিকনফারেন্সিং পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেন্সিং রয়েছে।

টেলিকনফারেন্সিং-এর জন্য কি কি প্রয়োজন হয়-

কম্পিউটার, টেলিফোন সংযোগ, অডিও কার্ড, মাইক্রোফোন, স্পীকার, প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার। বর্তমানে 3G মোবাইল ফোনে টেলিকনফারেন্সিং-এর ব্যবস্থা আছে।

বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা রয়েছে।
টেলিকনফারেন্সিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেমন-

পাবলিক কনফারেন্স : এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে পারে।

ক্লোজড কনফারেন্স : এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়, পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে এ কনফারেন্সে অংশ নেয়া যায়।

রিড অনলি কনফারেন্স : এটি সীমিত হতে পারে। যাতে শুধুমাত্র কার্যবিবরণী দেখা যায় কিংবা অংশগ্রহণকারীর বার্তায় মন্তব্য জুড়ে দেওয়া যায়।

টেলিকনফারেন্সিং কি কি ক্ষেত্রে  ব্যবহৃত হয়

শিক্ষাক্ষেত্রে, ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।

ভিডিও কনফারেন্সিং (Video Conferencing) :
আজকাল 3G মোবাইলের যুগে খুব জনপ্রিয় একটি ব্যবস্থা হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সিং। কোনো মিটিং-এ সরাসরি উপস্থিত না হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিটিং-এ অংশগ্রহণ করা যায়।

এ ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থায় মনিটর বা স্ক্রীণে অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরের সম্মুখে বসে একে অপরকে দেখে কথোপকথনে অংশ নিতে পারে । এটি একটি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাধিক ভৌগোলিক অবস্থানে অডিও এবং ভিডিও-এর যুগপৎ উভমুখী স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলা হয়।

অর্থাৎ ভিডিও কনফারেন্সিং হলো- দুইয়ের অধিক ব্যক্তির অংশগ্রহণে বিভিন্ন স্থান হতে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অডিও এবং ভিডিও ডেটা আদান-প্রদান পদ্ধতি।
এ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণ কম্পিউটারের মাধ্যমে
পরস্পরের মুখোমুখি হন এবং আলোচনায় অংশ নেন।

প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর কম্পিউটারের সাথে ভিডিও
ক্যামেরা, মাইক্রোফোন এবং স্পিকার থাকে। দেশের বাইরে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগের জন্য কিছুদিন আগেও মোবাইল ফোন ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম।

কিন্তু বর্তমানে উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রায় বিনামূল্যে স্কাইপি, মাইক্রোসফ্ট নেটমিটিং, ভাইবার, ফেসবুক, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি ভিডিও চ্যাটিং সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে সরাসরি দেখা ও কথা বলা যায়।

তাই বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিং খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শিক্ষক-ছাত্র, ডাক্তার-রোগী, রাজনীতিবিদ, জনগণ, গবেষক এমনকি পারিবারিক আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম।

ভিডিও কনফারেন্সিং-এর জন্য যা প্রয়োজন হয়:
মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার, ওয়েব ক্যামেরা, ভিডিও ক্যাপচার কার্ড, সাউন্ড কার্ড, স্পীকার, মাইক্রোফোন, মডেম, টেলিফোন লাইন/ইন্টারনেট সংযোগ, প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার ইত্যাদি।

ভিডিও কনফারেন্সিং-এর ব্যবহার : ব্যবসায়-বাণিজ্য, স্বাস্থ্যখাতের টেলিমেডিসিন সেবায়, শিক্ষাখাতে এটি বেশি
ব্যবহৃত হয়।

ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা/বৈশিষ্ট্য

১. দ্রুত ও একসাথে অনেক কাজ করা যায়।
২. একই সাথে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা যায় ।
৩. যেকোনো দূরত্বে অবস্থান করেও সভা-সমাবেশ করা যায়।
8. এতে সরাসরি উপস্থিত হতে হয় না বলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
৫. কোনো সভা-সমাবেশে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ একে অপরকে স্ক্রীণে দেখতে পায়।

যোগাযোগ করার জন্য আজকাল বিভিন্ন সামাজিক সাইটে স্বল্প সময়ের মধ্যে যেকোনো খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব।

যেকোনো খবর কেউ যদি কোনো সামাজিক যোগাযোগ সাইটে বা ব্লগে দিয়ে দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সাইটের সকল সদস্য একই সাথে সেই খবর দেখতে পাবে এবং তারাও তাদের পরিচিতজনদের সাথে খবরটি শেয়ার করতে পারবে।

এভাবে মুহূর্তের মধ্যেই খবরটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণতঃ ফেসবুক বা গুগল প্লাস, স্ট্যাটাস, টুইট ও চ্যাট ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

প্রশ্নঃ ভিডিও কনফারেন্সিং কি? ব্যাখ্যা কর।

বা, ভিডিও কনফারেন্সিং বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাধিক ভৌগোলিক অবস্থানে অডিও এবং ভিডিও-এর যুগপৎ উভমুখী স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলা হয়।

ভিডিও কনফারেন্সিং হলো- দুইয়ের অধিক ব্যক্তির অংশগ্রহণে বিভিন্ন স্থান হতে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অডিও এবং ভিডিও ডেটা আদান-প্রদান পদ্ধতি।
এ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণ কম্পিউটারের মাধ্যমে
পরস্পরের মুখোমুখি হন এবং আলোচনায় অংশ নেন।

আরও পড়ুনঃ বুলেটিন বোর্ড কি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button