ব্যাকরণ

ব ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আজকে আমরা ব ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম শিখবো। এগুলা এসএসসি, এইচএসসি সহ অন্যান্য পরিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ধ্বনিতত্ত্ববিদ মুহাম্মদ আব্দুল হাই এর হিসেব মতে বাংলায় আড়াইশর মতো যুক্তাক্ষর রয়েছে। কিন্তু যথার্থ যুক্ত ব্যাঞ্জনধ্বনি রয়েছে মত্র ছিত্রিশটি। এখানে আড়াইশো বা ছত্রিশ কোনোটির বিশদ ব্যাখ্যায় না গিয়ে ব ফলা উচ্চারণের পাঁচটি সংক্ষিপ্ত নিয়ম উদাহরণ সহ দেখে নেওয়া যাক।

ব ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ নিচে দেওয়া হল-

  • পদের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে “ব”-ফলা সংযুক্ত হলে সাধারণত সে ব-ফলার কোনাে উচ্চারণ হয় না। যথা: স্বাধিকার (শাধিকার), স্বদেশ (শদেশ), জ্বালা (জালা),
    ত্বক(তক্) ইত্যাদি।
  • বাংলা উচ্চারণের রীতি অনুসারে পদের মধ্যে কিংবা শেষে “ব” ফলা থাকলে সংযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দ্বিত্ব হয়। যথা: দ্বিত্ব (দিত্ তো), বিশ্ব (বিশ্ শো), বিদ্বান
    (বিদ্ দান) ইত্যাদি ।
  • উৎ (উদ্) উপসর্গ যােগে গঠিত শব্দের “ৎ” (দ্) এর সঙ্গে “ব” ফলার ব বাংলা-উচ্চারণে সাধারণত অবিকৃত থাকে। যথা: উদ্বেগ (উদ্‌বেগ্), উদ্বোধন
    (উদ্‌বােধােন্) ইত্যাদি।
  • বাংলা শব্দে ক্ থেকে সন্ধির সূত্রে আগত “গ্” এর সঙ্গে ব -ফলা যুক্ত হলে সেক্ষেত্রে ব’ এর উচ্চারণ প্রায়শ অক্ষত থাকে। যথা: দিগ্বিদিক (দিগ্‌বিদিক),
    দিশ্বধূ(দিগ্ বোধু), দিগ্বসনা(দিগ্‌ বশােনা), দিগ্বলয়(দিগ্ বলয়) ইত্যাদি।
  • এছাড়া “ব” -এর সঙ্গে এবং “ম” এর সঙ্গে “ব” -ফলা যুক্ত হলে, সে ব-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যথা: ব-এর সঙ্গে : বাব্বা (বাব্ বা), সব্বাই (শব্ বাই),
    সাব্বাশ (শাব্ বাশ) ইত্যাদি।
    তবে এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য যে “ব”-ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে সংযুক্ত হলে তার কোনাে উচ্চারণ হয় না। যথা: উচ্ছ্বাস (উচ্ ছাশ্), উজ্জ্বল (উজ্ জোল্) ইত্যাদি ।

বিদ্রঃ তো এই ছিল ব ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণ সহ । এখান থেকে চাকরি, বিসিএস এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাসহ যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় প্রশ্ন আসতে পারে। যেকোনো মতামত কমেন্ট করে আমাদের জানান।

আরো পড়ুনঃ নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button