ব্লগ
ব ফলা উচ্চারণের নিয়ম উদাহরণ সহ

ব ফলা উচ্চারণের নিয়ম:
ব ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম নিচে দেওয়া হল-
- পদের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ❝ব❞-ফলা সংযুক্ত হলে সাধারণত সে ব-ফলার কোনাে উচ্চারণ হয় না। যথা: স্বাধিকার (শাধিকার), স্বদেশ (শদেশ), জ্বালা (জালা),
ত্বক(তক্) ইত্যাদি।
- বাংলা উচ্চারণের রীতি অনুসারে পদের মধ্যে কিংবা শেষে ❝ব❞ ফলা থাকলে সংযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দ্বিত্ব হয়। যথা: দ্বিত্ব (দিত্ তো), বিশ্ব (বিশ্ শো), বিদ্বান
(বিদ্ দান) ইত্যাদি ।
- উৎ (উদ্) উপসর্গ যােগে গঠিত শব্দের ❝ৎ❞ (দ্) এর সঙ্গে ❝ব❞ ফলার ব বাংলা-উচ্চারণে সাধারণত অবিকৃত থাকে। যথা: উদ্বেগ (উদ্বেগ্), উদ্বোধন
(উদ্বােধােন্) ইত্যাদি।
- বাংলা শব্দে ক্ থেকে সন্ধির সূত্রে আগত ❝গ্❞ এর সঙ্গে ব -ফলা যুক্ত হলে সেক্ষেত্রে ব’ এর উচ্চারণ প্রায়শ অক্ষত থাকে। যথা: দিগ্বিদিক (দিগ্বিদিক),
দিশ্বধূ(দিগ্ বোধু), দিগ্বসনা(দিগ্ বশােনা), দিগ্বলয়(দিগ্ বলয়) ইত্যাদি।
- এছাড়া ❝ব❞ -এর সঙ্গে এবং ❝ম❞ এর সঙ্গে ❝ব❞ -ফলা যুক্ত হলে, সে ব-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যথা: ব-এর সঙ্গে : বাব্বা (বাব্ বা), সব্বাই (শব্ বাই),
সাব্বাশ (শাব্ বাশ) ইত্যাদি।
তবে এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য যে ❝ব❞-ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে সংযুক্ত হলে তার কোনাে উচ্চারণ হয় না। যথা: উচ্ছ্বাস (উচ্ ছাশ্), উজ্জ্বল (উজ্ জোল্) ইত্যাদি ।
বিদ্রঃ তো এই ছিল ব ফলা উচ্চারণের নিয়ম। এখান থেকে চাকরি, বিসিএস এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাসহ যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় প্রশ্ন আসতে পারে। যেকোনো মতামত কমেন্ট করে আমাদের জানান।