
মেহেদি ডিজাইন: আজকাল হাতে মেহেদি না লাগিয়ে কোনো উৎসব বা বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় না বললেই চলে। নববধূর বিবাহের দিন তার জন্য শুভ বলে পরিচিত, মেহেদি এর সুদূরপ্রসারী স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেকে অস্থায়ী “ট্যাটু” হিসাবে ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করে। বিশেষ করে মেয়েরা সৌন্দয্য বৃদ্ধির জন্য মেহেদি দিয়ে বিভিন্ন কারুকার্য অংকন করে থাকে।
জন্মদিন, বিয়ে, ঈদের সময় এবং অন্যান বিশেষ দিনে মেহেদি লাগানো আজকাল একটা প্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আপনাদের জন্য আমরা অনেক গুলো নতুন মেহেদি ডিজাইন নিয়ে এসেছি। এখানে ডিজাইন গুলো ধারাবাহিক ভাবে সাজানো রয়েছেন। আপনার প্রয়োজনীয় ডিজাইন দেখতে নিচের টাইটেল গুলো তে ক্লিক করতে পারেন অথবা শুরু থেকে দেখে যেতে পারেন। আশা করি অনেক ভালো লাগবে।
- নতুন সিম্পল এবং সহজ মেহেদী ডিজাইন
- হাতের তালুর মেহেদী ডিজাইন
- পায়ের মেহেদী ডিজাইন
- বিয়ের মেহেদী ডিজাইন
- ছেলেদের মেহেদী ডিজাইন
- ছোটদের মেহেদী ডিজাইন
নতুন, সিম্পল এবং সহজ মেহেদি ডিজাইন
এখানে অনেক গুলো সহজ এবং সিম্পল মেহেদি ডিজাইন দেখানো হয়েছে। একটু চেষ্টা করলে যে কেউ এগুলো হাতে একে ফেলতে পারবেন। বিয়ে, ঈদ বা যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য এই মেহেদী ডিজাইন গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।



আরও পড়ুনঃ ঈদের শুভেচ্ছা পোস্টার ডিজাইন
হাতের তালুর মেহেদি ডিজাইন
এই ডিজাইন গুলো মূলত হাতের তালুর জন্য তারপর ও আপনারা চাইলে যে কোনো জায়গাই এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু মেয়েরা নয় ছেলেদের ক্ষেত্রেও এই ডিজাইন গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
পায়ের মেহেদি ডিজাইন
সাধারাণত পায়ে কেউ মেহেদি লাগাইনা তারপরও অনেকে লাগান। বিশেষ করে বিয়ের কনেকে হাতে পায়ে মেহেদি লাগানো হয়। সেক্ষেত্রে আপনারা এই পায়ের মেহেদি ডিজাইন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
বিয়ের মেহেদি ডিজাইন
বিয়ের সময় কনের হাতে লাগানোর জন্য এই গর্জিয়াস বিয়ের মেহেদী ডিজাইন গুলো দেখতে পারেন।
ছেলেদের মেহেদি ডিজাইন
যদিও ছেলেরা তেমন একটা মেহেদি লাগায় না তারপরও বিয়ের দিন প্রায় সব ছেলেরাই হাতে মেহেদি লাগিয়ে থাকে। মেহেদি ছাড়া গায়ে হলুদ জমেই না। হাতে মেহেদি না থাকলে মনেই হবে না যে আপনার বিয়ে হয়েছে।
বিয়ের সময়য় ছেলেদের হাতে মেহেদি লাগানোর আর একটি বিশেষ সুবিধা হলো বিয়ের পর আপনি যে বিয়ে করেছেন সেটা মুখ দিয়ে বলতে হয় না।
মানুষ হাতে মেহেদি দেখলেই বুঝতে পারে যে আপনি নব বিবাহিত। কারণ ছেলেরা এই বিশেষ দিন ছাড়া তেমন একটা মেহেদি লাগায় না।
অনেক ছেলে আবার ঈদের সময়ও মেহেদি লাগিয়ে থাকে। তাই আপনাদের জন্য কিছু ছেলেদের মেহেদি ডিজাইন দেওয়া হলো:
ছোটদের মেহেদি ডিজাইন
ঈদের আনন্দ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ছোটদের মাঝে। ঈদের আগে থেকেই তাদের মাঝে খুশির আমেজ দেখা যায়। আর ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদ রাতের দিন তারা সাজুগুজু নিয়ে খুব ব্যাস্ত হয়ে যায় তার মধ্যে একটা হলো মেহেদি দেওয়া। তাই আমরা কয়েকটি ছোটদের মেহেদি ডিজাইন এখানে যুক্ত করে দিয়েছি।
উপসংহারঃ যদিও চুল রঙ করতে এবং হাতে লাগানোর জন্য মেহেদি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, মেহেদিও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে মেহেদির ব্যবহার, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে যেগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
মেহেদির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা
হেনা স্বাস্থ্য এবং চুলের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ, তবে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি বাইরের দোকান থেকে যে মেহেদি কিনছেন তা ১০০% জৈব এবং রাসায়নিকমুক্ত। এখন বাজারের বেশিরভাগ মেহেদিতে অতিরিক্ত রং ও গন্ধ পেতে PPD এর মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকে। এই রাসায়নিকগুলি নিম্নরূপ বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে:
PPD হল একটি অ্যালার্জেন যা ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে যখন এটি সরাসরি সংস্পর্শে আসে। এটি প্রথম ব্যবহার থেকে বা কয়েকবার ব্যবহারেরপর প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে, তবে এই রাসায়নিকটি ত্বকের সংস্পর্শে যত বেশি হবে, তত বেশি আপনি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখতে শুরু করবেন।
এটি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যেমন ত্বকের প্রদাহ (ডার্মাটাইটিস) যেমন লালভাব, চুলকানি, জ্বলন, ফোলাভাব, স্কেলিং, ফোসকা এবং ত্বকের দাগ। কদাচিৎ, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন আমবাত, সর্দি, শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি ঘটতে পারে।
বেশিরভাগ মেহেদি পেস্ট এবং পাউডার পণ্যগুলিতে অত্যন্ত শুকানো রাসায়নিক অন্তর্ভুক্ত থাকে। যা আপনার চুল বা ত্বককে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত করতে পারে এবং শুষ্ক, রুক্ষ এবং অস্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে।
আপনার চোখে মেহেদি লাগানোর পর যদি আপনার চোখে জল, চুলকানি বা চোখ লাল হয়ে যায়, তাহলে অবিলম্বে ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। যদি ব্যথা বা চোখের সমস্যা অব্যাহত থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে। তাই শারীরিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ভালো মানের মেহেদি সংগ্রহ করুন।
বিশেষ সতর্কতা
শিশু: বিশেষ করে শিশুদের ব্যবহারের জন্য মেহেদিকে অনিরাপদ বলে মনে করা হয়। শিশুদের ত্বকে মেহেদি লাগানোর সময় গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গ্লুকোজ 6-ফসফেট ডিহাইড্রোজেনেস (G6PD) এর ঘাটতিতে থাকা শিশুরা বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। এই শিশুদের ত্বকে মেহেদি লাগালে তাদের লোহিত রক্তকণিকা ফেটে যেতে পারে।
মেহেদির অ্যালার্জি: আপনার যদি মেহেদিতে অ্যালার্জি থাকে তবে মেহেদি এড়িয়ে চলুন।